ঘটনা উত্তরপাড়ার (Uttarpara) ভদ্রকালীর কবি কিরণধন রোডের। অভিযোগ, বাবা (বয়স ৮৩) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। সঙ্গে মারধরও করতেন। এসব আর সহ্য করতে না পেরে রাগের মাথায় বাবাকে পিটিয়ে খুন করে মেয়ে কেয়া অধিকারী। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশীদের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, রেলে চাকরি করতেন কালীপদ দাস। অবসরের পর সারাদিন বাড়িতেই থাকতেন। তাঁর স্ত্রী গীতাদেবী অসুস্থ, শয্যাশায়ী। একমাত্র মেয়ে, কেয়া অধিকারী বিবাহবিচ্ছিন্না। কেয়ার ছেলের বয়স ২৪, দাদুর বাড়িতেই থাকে সে। নাতি অভিষেকের পড়াশোনা-সহ যাবতীয় খরচ এতদিন বহন করেছেন কালীপদবাবুই। এর মধ্যেই ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা।
প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বৃদ্ধের চিৎকার শোনা যায়। সকলেই জানার জন্য উঁকিঝুঁকি দিলেও, দেখা যায় নাতি অভিষেক দুটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। এরপর বাড়িতে যেতেই দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন বৃদ্ধ। স্থানীয় চিকিৎসককে খবর দিলে, তিনি জানান মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের।
এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হতে, কেয়া অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তরপাড়ার পুলিশ। ওই সময় কেয়া স্বীকার করে নেন, তার সঙ্গে বাবার অশান্তি লেগে থাকত। গালিগালাজ করতেন বাবা, এমনকী মারধরও করতেন। এদিনও তেমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাড়িতে। তাতেই কেয়া রেগে গিয়ে বাবাকে পেটায়। তবে তাতে যে বাবার মৃত্যু হবে, তা ভাবতে পারেননি তিনি।