বড়দিনের (Christmas) সকালে তল্পিতল্পা গুছিয়ে সকলে বেরিয়ে পড়েছেন পিকনিকে। গন্তব্যস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) কুলতলির (Kultali) পিয়ালি নদীর ধার। বিভিন্ন জায়গার মানুষ জড়ো হয়েছেন নদীর ধার বরাবর। কাছেপীঠের লোকজন তো আছেনই, সঙ্গে সুদূর কলকাতা থেকেও গেছেন অনেকে। সবকিছুই প্রস্তুত। হঠাৎ-ই পুলিশের তরফে পিকনিক বাতিল করতে তৎপরতা। কারণ কী? পিকনিক স্পটে দক্ষিণরায়ের উপস্থিতি। মানুষের চোখ তো ছানাবড়! এমন শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে দক্ষিণরায় কেন? একদল মানুষের বক্তব্য, এমন নিরিবিলি পরিবেশে ঘাপটি মেরে বসে থাকাই তো তার কাজ।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে পিয়ালি নদীর ধারে ডোঙাঝোড়া গ্রামের কাছে বাঘের ছাপ দেখতে পান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। বাঘের উপস্থিতি টের পেয়েই তাঁরা বন-দফতরের কাছে খবর পাঠান। ততক্ষণে বড়দিন উপলক্ষে পিয়ালি নদীর ধার বরাবর বিভিন্ন জায়গায় দূর-দূরান্তের মানুষের দল পিকনিক জমাতে পৌঁছে গেছেন। খবর যায় পুলিশের কাছে। একদিকে বাঘের উপস্থিতি, অপরদিকে এত মানুষের জমায়েত - সবমিলিয়ে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। বাধ্য হয়ে সরিয়ে ফেলা পিকনিক করতে আসা মানুষদের। যদিও সেই এলাকায় খাঁচা ফেলে ছাগলের টোপ দিয়ে ধরা যায়নি কোন বাঘ। ধরা না পড়লেও আসতে কতক্ষণ! আসে তো নীরবে, বোঝার কোন উপায় নেই!
উল্লেখ্য, গত দিন সেই এলাকায় ঘনঘন বাঘের উপস্থিতির টের পাচ্ছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এমনকী মাঝে মাঝে শোনা গিয়েছে বাঘের গর্জন। আতঙ্কের শেষ নেই। খাঁচা পেতে ছাগলের টোপ দিয়েও ধরা যায়নি। আতঙ্ক তো থাকবেই। এরপর গরানকাটি এলাকায় ফের দেখা যায় দক্ষিণরায়ের উপস্থিতি। যদিও বনকর্মীদের তৎপরতায় জাল খাটিয়ে ধরা পড়ে। কিন্তু একটা ধরা পড়লে কী হবে! মাঝেমাঝেই লোকালয়ে চলে আসছে। এলাকায় বাড়ছে আতঙ্ক। আর বড়দিনের আনন্দ যে দক্ষিণরায়ের ভয়ে এভাবে মাটি হয়ে যাবে কে তা জানত! পিকনিক না হলেও দক্ষিণরায়ের আতঙ্ক নিয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন, এরচেয়ে রোমাঞ্চকর আর কীই-বা হতে পারে!