ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ (Jawad)। আবহাওয়াবিদদের ধারণা ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূল বরাবর আছড়ে পড়তে পারে এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। উপকূল অঞ্চলে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে হতে পারে ঝড়। তবে ল্যান্ডফলের সময় হাওয়ার গতিবেগ কত থাকতে পারে আবহাওয়াবিদদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। আজ সন্ধ্যার পর গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে খবর। ইতিমধ্যেই মৌসুম ভবনের তরফে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের একাধিক জায়গায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা।
ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়েছে এই নিম্নচাপ। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। জাওয়াদের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী একাধিক জেলায় হতে পারে প্রবল বৃষ্টি। শুক্রবারই দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) অন্তত ৬ জেলায় ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টিতে ভাসতে পারে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া ও ঝাড়গ্রামে। এখন ধান তোলার মরশুম। তাই এমন অবস্থায় বৃষ্টি হলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন কৃষকরা। সেইসঙ্গে যেসব জায়গায় শীতকালীন ফসল রোপণ করা হয়েছে, তারও বিস্তর ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতি হতে পারে আলু চাষেও। সব মিলিয়ে ভরা শীতের মরশুমে বৃষ্টির কথা শুনে মাথায় হাত চাষীদের।
জাওয়াদের আশঙ্কায় বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫৩ টি ট্রেন বাতিলের খবর এসেছে। শুক্রবার হাওড়া ও সাঁতরাগাছি থেকে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। বাতিল হয়েছে হাওড়া-যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া-ভিল্লুপুরম এক্সপ্রেস, হাওড়া-হায়দরাবাদ ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেস, হাওড়া-এমজিআর চেন্নাই এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল মেল, সাঁতরাগাছি-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল, হাওড়া-মাইসোর উইকলি এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস। অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে জারি হয়েছে অতি সতর্কতা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেই নিম্নচাপের জেরে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়। শনিবার সকালের দিকে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের কোথাও ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল জেলায় হতে পারে প্রবল বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। কলকাতাতেও হতে পারে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি। চলতি সপ্তাহের শেষে ভারি বৃষ্টিতে ফের ভাসতে পারে বাংলা। সোমবার থেকে কাটতে পারে দুর্যোগ।