ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) ক্ষত এখনও পুরোপুরি যায়নি। এর মধ্যে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব' (Cyclone Gulab)। আগামীকাল থেকেই জোড়া নিম্নচাপের ফলায় দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের কথা আগেই হাওয়া অফিস জানিয়েছিল। এবার তার সঙ্গে নতুন করে এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রবিবার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। হতে পারে প্রবল বর্ষণ।
এই 'গুলাব' ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান। এই ঘূর্ণিঝড় কতটা পশ্চিমবঙ্গের উপর প্রভাব তৈরি করবে? এ প্রশ্নের উত্তরে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে ভাইজ্যাকের অভিমুখে। সরাসরি বাংলার কোন উপকূল অঞ্চলে আছড়ে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিশেষত পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে আরও খবর, গুলাব বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ক্রমশ আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যা শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। একদিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন নিম্নচাপের ফলে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে, তার সঙ্গে এই নতুন ঘূর্ণিঝড়ের জোড়া ফলায় ফের ভাসতে পারে বাংলা। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও জলের তলায়। পটাশপুর, ভগবানপুর, কাঁথি, খেজুরি, এগরা প্রভৃতি বিধানসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বাড়ছে জলস্তর। কেলেঘাই, বাগুই প্রভৃতি নদীর জলস্তর বিপজ্জনক সীমার মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে চলছে মাইকিং প্রচার। মৎস্যজীবীদের নিরাপদ স্থানে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি-সহ বিভিন্ন উপকূল অঞ্চল ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, নামখানা প্রভৃতি জায়গায় সতর্কতা জারি হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বৃষ্টির প্রভাব শুরু হয়ে যাবে। ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।