বাড়ির ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশী স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। এ নিয়ে দুই পরিবারে অশান্তির শেষ নেই। তর্ক-বিতর্ক, বহু কলহের পরও থামেনি সেই সম্পর্কের জের। কিন্তু পরিণতিতে ছেলেকে না পেয়ে বয়স্ক বাবাকে যে খুনের অভিযোগ উঠবে, কে তা জানত! ঘটনাটি কোচবিহারের দিনহাটার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে। একাংশ আবার এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির রঙ লাগিয়েছেন।
সূত্রের খবর, কোচবিহারের দিনহাটার হোপদহ এলাকার বছর সত্তরের বিনোদচন্দ্র অধিকারী। তাঁর ছোট ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশী সুশান্ত বর্মণের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দুই পরিবারে অশান্তি হয়েছে। অভিযোগ, তারপরেও তাদের অবৈধ সম্পর্কে কোন ভাঁটা পড়েনি। এমন অবস্থায় মূল অভিযুক্ত সুশান্ত বর্মণ আচমকাই হোপদহ বাজারে বিনোদচন্দ্র অধিকারীর ছেলেদের উপর চড়াও হন। বিনোদবাবুর ছেলেরা পরিস্থিতি বুঝে চম্পট দেন। তাদের ধাওয়া করে সুশান্ত বর্মণ বিনোদচন্দ্র অধিকারীর বাড়িতে পৌঁছে যান। আর বিনোদবাবুকে সামনে পেয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। পরে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি তরজার আঁচ খুঁজে পেয়েছেন। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে বিনোদচন্দ্র অধিকারীর ছেলে বিজেপির তপশিলি মোর্চার মণ্ডল সভাপতি। বিজেপি করায় খুন হতে হল তার বাবাকে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। যদিও এই ঘটনার পর গোটা এলাকা থমথমে। ছেলের কৃতকর্মে বাবাকে যে এভাবে বেঘোরে প্রাণ দিতে হবে, কে তা জানত!