মাত্র মিনিট কয়েকের ঝড়, সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। আর তাতেই তছনছ কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের তাপুরহাট, সুটকাবাড়ি, মোয়ামারি, ঘুঘুমারি-সহ একাধিক জায়গায় অসংখ্য বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ঝড়ের তাণ্ডবে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। যেসকল বাড়ির উপর টিনের চাল ছিল, প্রবল ঝড়ে সেসব উড়ে গিয়েছে। ঘরের চাল উড়ে, গাছপালা ভেঙে, শিলাবৃষ্টির কারণে চাষের জমি নষ্ট হয়ে লন্ডভন্ড অবস্থা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল, কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী যে এমন কান্ড ঘটাতে পারে কে তা জানত! ঘরবাড়ি তো ভেঙেইছে, রাস্তায় উল্টে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন। উড়ে গিয়েছে পুলিশ ফাঁড়ির ছাদের টিনের চাল। দিনহাটা যাওয়ার রাজ্য সড়কের উপর ভেঙে পড়েছে একাধিক বড় গাছ। যার ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে।
রাতের অন্ধকারে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব রবীন্দ্র নাথ ঘোষ। তিনি গোটা এলাকা ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। আহতদের যাতে যতটা দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই দিকটি তিনি খতিয়ে দেখেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও তুফানগঞ্জে মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে গোটা এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল। তবে এই ঝড়ের সঙ্গে ছিল শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির ফলে মাঠের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা। উচ্ছে, পটল, ঝিঙে-সহ একাধিক সব্জি বাগান তছনছ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্র নাথ ঘোষ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরণের সাহায্য করা হবে।