যশ নিয়ে ফের সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)। দফায় দফায় করছেন সাংবাদিক বৈঠক। ক্রমশই শক্তিবাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। বুধবার সন্ধ্যের দিকে এটি ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার আগেই পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কী পরিস্থিতি, তা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আবারও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে। পাশাপাশি দুঃখ প্রকাশ করেন নদীর কাছাকাছি থাকা জনসাধারণের উদ্দেশ্যে। এদিন তিনি বলেন, "প্রতিটি আইপিএস অফিসারকে এক একটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংসদ ও বিধায়কদের সাথে কথা হয়েছে, সকলে কাজ করছেন। আমরা প্রত্যেকেই কাজ ভাগ করে নিয়েছি। আমরা সকলেই আজ নবান্নে থাকব। কালও থাকব।"
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, "আজ তার উপর ভরা কোটাল, গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া। আজ পূর্ণিমা, এমনিতেই গঙ্গার জল বেড়েছে। এই জল বেড়ে যাওয়াই চিন্তার। বন্যা নিয়ন্ত্রন করা গেলেও, নিচু জমিতে জল জমছে। তবুও আমারা কিছু কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি, যারা দেখ ভাল করছে। ফিরহাদ বাড়ি বসে সব মনিটারিং করছে। প্রায় ৭৪ হাজার কর্মী ও কর্মচারী ও দুই লক্ষ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্মী কাজ করছে। যাতে কোনও দুর্যোগ হলেই তাঁরা তৎক্ষনাৎ কাজ করতে পারে। সকলে কাজ করছে, বিডিও-আশা কর্মী, নার্স, ডাক্তার সকলে কাজ করছে। প্রায় তিন লক্ষ মানুষ কাজ করছে। কিন্তু দুর্যোগকে কেউ আটকাতে পারে না, তবে যেটুকু কাজ করা যায়, আমরা করছি। আমরা সারা রাত পাহারা দেব। আপনারা নিশ্চিত থাকুন। তবে খারাপ লাগে তাঁদের কথা ভেবে যারা নদীর ধারে কাছে থাকেন। তাঁদের উপর দিয়ে প্রতিবছর ঝড় যাচ্ছে। তবে গতবছর আমফানের থেকে অনেকটা শিক্ষা নিয়েছি। তবে আজ তো বেশি কিছু বলা যাবে না।কারণ, কাল ঝড়টা পশ্চিমবঙ্গে আসবে। কেউ বলছে ভোর থেকে বৃষ্টি বাড়বে। তাই আমি আবার সন্ধ্যা ছ'টায় আপডেট দেব।"