প্রথম দফা ভোটের আগেই এদিন বৃহস্পতিবারই প্রচারের শেষ দিনে শেষবেলার প্রচারকে কাজ লাগাতে চারটি সভার কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাথরপ্রতিমার কলেজ মাঠে প্রথম সভার পর পরেরটি ওই জেলারই গঙ্গাসাগর মেলার মাঠে। তারপরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রথম সভা দাঁতনে, পরেরটি তালদা রতনচক অঞ্চলে। এবং এরপরেই মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে, অর্থাৎ প্রার্থী জুন মালিয়ার হয়ে বিড়লা মাঠে বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই ভোট প্রচারে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দফা নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে রাজ্য প্রশাসনের ৫ অফিসারকে বদলির পরে বৃহস্পতিবার দাঁতনের সভা থেকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "আমরা একদিকে কষ্ট করে মিটিং করছি, মানুষ কষ্ট করে আসছেন, আর অন্য দিকে বিজেপি দলটা নির্বাচন কমিশনকে এমন ভাবে প্রভাবিত করছে, যেন মনে হচ্ছে ওটা বিজেপি-র কমিশনে পরিণত হয়েছে। কমিশন এখন বিজেপি-র খুড়তুতো ভাই। আমি হেলিকপ্টারে আসতে আসতে শুনলাম, বিজেপির কথা মতো আরও কয়েকটা ডিএম, এসপি বদলে দিয়েছে। আমি বলি সবটা বদলে দাও। তাতেও কোন লাভ নেই। বিজেপিকে জেতাতে পারবে না। কারণ যাদের বদলাচ্ছ, তারাও আমাদের লোক। যাদের নিয়ে আসছ তারা আরও বেশি করে আমাদের লোক।"
বিজেপিকে তোপ দাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, " ১০০ দিনের কাজে আমরা ১ নম্বর। পিএম কেয়ার্সের নামে টাকা তুলছ। কোথায় গেল টাকা? কেউ পায়নি। রেল বিক্রি করছ। সেল বিক্রি করছ। বুলবুলের সময় ২০ লক্ষ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত মানুষদের জন্য কোনও সাহায্য করেনি। নরেন্দ্র মোদী একদিন ঢং করে দেখতে এল। বলল,১ হাজার কোটি টাকা দেব। ওটা রাজ্য সরকারের প্রাপ্ত টাকা। এক পয়সাও দেয়নি। মাছের তেলে মাছ ভাজা। আমরা আমপানের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। ২১ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য ২০০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য। আমি বিজেপি-র মতো দাঙ্গাবাজ নই, ধান্দাবাজ নই। বিজেপি হচ্ছে বহিরাগত গুন্ডাদের পার্টি। বহিরাগত দুর্যোধনের পার্টি। জঞ্জালের পার্টি। এনপিআরের পার্টি। ১ এপ্রিল ওদের এপ্রিল ফুল করে দিন। এখন আবার নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাচ্ছে। কোনও দিন দেশটার নাম পাল্টে দেবে।"
এখানেই শেষ নয়, নিজের দলের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বছরে দু’বার করে চারমাস দুয়ারে সরকার হবে। দুয়ারে সরকারের জন্য অগস্ট-সেপ্টেম্বরে শিবির হবে। ক্ষুদ্র শিল্পে আরও ১ কোটি ৩২ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। আর একটা স্কিম করছি। ক্লাশ টেনে উঠলে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্রেডিট কার্ড পাবে পড়ুয়ারা। আমরা ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ পুঁতছি।"