গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। আজ বুধবার, দুপুর ২:৩০ এ বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে শুরুতেই তিনি সোমবার বাজেট পেশের শুরুতেই বিজেপির তান্ডব প্রসঙ্গে তির্যক মন্তব্য ছুঁড়ে দেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, মমতার আজকের ভাষণে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি সাম্প্রতিক দুই কাউন্সিলার খুনের বিষয়টিও উঠে আসবে। আর অনুমান একদম ঠিক হলো।
পানিহাটি ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রয়াত অনুপম দত্তের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "অনুপম ভাল ছেলে, মারা গিয়েছে আর ঝালদায় কাউন্সিলরের মৃত্যর ঘটনায় একজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে শীতলখুচিতে ভোটের সময় চারজন মারা গেল তাদের বিচার হচ্ছে না। তদন্তের জন্য ডাকা হলে জবাব আসছে, ভার্চুয়ালি হাজিরা দেব।"
এদিকে বিজেপি সাংসদ অগ্নিমিত্রা পাল প্রশ্ন তোলেন নির্ভয়া তহবিল নিয়ে। তাঁকে আশ্বস্ত করে মমতার জবাব, "নির্ভয়া ফান্ডে ৯২ কোটি টাকা এসেছিল। তার মধ্যে ৫৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাকি খরচ হবে।" এদিন অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভা ছেড়ে বেড়িয়ে যান বিজেপি বিধায়কেরা। আর সেই প্রসঙ্গেই গেরুয়া শিবিরকে উদ্দেশ্য করে মমতা তোপ দেগে বলেছেন, "ওরা পালিয়ে গেল এই ভয়ে যদি আমি গরু পাচার, বালি খাদান, পরিবহন সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির কথা বলে দিই। "
এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে পাঁচ রাজ্যে ভোটে জয়ের জন্য রিগিংয়ের অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি বললেন, "ওরা উত্তরপ্রদেশে জিতেছে কিন্তু ৫৪টি আসন হারিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ভোটে আমরা সহযোগিতা না করলে বৈতরনী পার হবে না। সবাই এক হলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ধাক্কা দেওয়া সম্ভব।" মাননীয়ার দিকে পেগাসাস নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসলে মমতার উবাচ, "পেগাসাস কেনার প্রস্তাব আমার কাছেও এসেছিল। কিন্তু আমি কিনিনি। বিজেপি শাসিত রাজ্য কিনেছিল।" মমতার কথায়, "মানুষের বাক স্বাধীনতার কথা ভেবেই আমি পেগাসাস কিনিনি। কিন্তু চন্দ্রবাবুর শাসনকালে অন্ধ্র পেগাসাস সফটওয়্যার কিনেছিল।" মমতা জানান, "এখন সেই পেগাসাসের জন্যই তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। কারোর সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না তিনি।"
প্রসঙ্গত, দলবদলু বিধায়ক কৃষ্ণকল্যানী জানিয়েছেন মমতাকে আয়করের নির্দেশ পাঠাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সেপ্রসঙ্গ তুলে মমতা বিধানসভায় বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী আমাদের ধমকি দিয়ে গেলেন। তাহলেই বুঝুন কে আয়কর দফতর চালায়, কে-ই বা চালায় সিবিআই।"