রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে 'সবুজসাথী', 'কন্যাশ্রী', 'স্বাস্থ্যসাথী' সহ একাধিক সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পে জোয়ার এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শিল্প, আর কর্মসংস্থানে রয়ে গিয়েছে খামতি। আজ টিটাগড়ের ওয়াগন কারখানার ২৫ বছরের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, এমনই আক্ষেপের সুর উঠল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “সামাজিক প্রকল্প আমরা অনেক করেছি। কিন্তু আমরা যেটা করতে পারিনি তা হল আরও নতুন করে অনেক-অনেক শিল্প এবং কর্মসংস্থান।”
এদিন হিন্দুস্তান মোটরসের পরিত্যক্ত ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, বাম আমলে হিন্দুস্তান মোটরস ৭০০ একর জমি দিয়েছিল। কিন্তু তারা চেন্নাইতে বিনিয়োগ করেছে। ফলে জমি পড়ে রয়েছে। এবার এই জমি আইনি প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণ করা হবে। সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই জমির ইতিহাস দেখে নাও। আইন করে রাজ্য এই জমি নেবে। দরকারে আদালতে যাবে রাজ্য। আইনি লড়াই করবে। কোর্টকে বলবে, বেকারদের চাকরি দিতে চাই। তাই এই জমিতে শিল্প হবে।"
প্রসঙ্গত, বাংলায় প্রথমবার মেট্রোর কোচ তৈরি হচ্ছে। খবর, ইতালির এক সংস্থা তৈরি করবে এই কোচ। তৈরি হবে প্যাসেঞ্জার কোচও। আর তাই আজ ভার্চুয়ালি কারখানার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, রাজ্য সরকার ৩টে ডেডিকেটেড করিডোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে লাখ লাখ ছেলে-মেয়ের চাকরি হবে। কমবে বেকারত্ব।