রাজ্য সরকারের নজরে এল এবার গঙ্গা এবং খাল সংস্কার। নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে আজ বৈঠকের সময় গঙ্গা কে কি করে পরিষ্কার করা যায় তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। আসলে ভাঁটার সময় আদিগঙ্গায় কালো জল বইতে দেখা যায়। এছাড়া প্রায় নিত্যদিন গঙ্গায় মরা পশু বা নানা ধরনের আবর্জনা ভেসে থাকতে দেখা যায়। এই বিষয় নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গঙ্গায় আবর্জনার জন্য বছরের পর বছর খাল সংস্কারের কাজ করা হলেও একাধিক এলাকায় জল জমে সাধারণ মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই অনেক জল জমে যায়। বর্ষার সময় এই সমস্যা অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাই এবার পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি "সৎ" ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে দ্রুত কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে নবান্নে আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকৃতি কিভাবে দুর্যোগ রুখতে পারে তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে এবং তার বাস্তবায়ন করতে ২৪ জনের বিশেষ কমিটি গঠনের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কমিটির প্রধান হবেন কল্যান রুদ্র। বাকি সদস্যরা হবেন কলকাতা, যাদবপুর সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আজ নবান্নে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা সম্বন্ধে মুখ্যমন্ত্রী নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন:
১) ১০০ দিনের কাজ বাড়াতে হবে। যশ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে সাধারণ মানুষকে ১০০ দিনের কাজ দিতে হবে।
২) ইটভাটাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
৩) মৌসুনি ও সাগর দ্বীপে ২০ হাজার লোক আছে। ১১ তারিখের আগে তাঁদের উদ্ধার করতে হবে।
৪) রাজ্যের সাথে আলোচনা না করে ডিভিসি জল ছাড়তে পারবে না।
৫) নিচু এলাকায় টিউবওয়েল খারাপ হয়ে গেলেও পিএইচইকে উঁচু জায়গায় টিউবওয়েল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।