প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের আর এক দিন বাকি; এখনো থামেনি, বরং বেড়েছে সংঘাত। জেলায় জেলায় শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ চরমে। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও দেওয়াল লিখন নিয়ে হাতাহাতি, কোথাও খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া, কোথাওবা পার্টি অফিস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আজ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। গত রাতে বারুইপুরে তৃণমূল কর্মীদের সাথে সংযুক্ত মোর্চার কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। এই পারস্পরিক সংঘাতের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী এবং দু-পক্ষেই আহত হয়েছেন জনা দশেক। একইসঙ্গে নিখোঁজ সংযুক্ত মোর্চার তিন কর্মী।
ঠিক কী ঘটেছিল? তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীর অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে সংযুক্ত মোর্চার অন্তর্গত আইএসএফ, সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থিত নেতা কর্মীরা গোপনে বৈঠক করছিলেন স্থানীয় বেলেগাছি এলাকায়। সেই সময় তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী সেই স্থান দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই তৃণমূল কর্মীদের উপর সংযুক্ত মোর্চার সমর্থকরা অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় তাদের ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্যামসুন্দরবাবু। রুহুল আমিন মিদ্দে নামে এক তৃণমূল কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
অন্যদিকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই পালটা দোষারোপ করে বারুইপুর পূর্ব কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী স্বপন নস্কর বলেন, বেলেগাছিতে সংযুক্ত মোর্চার এক কর্মীর বাড়িতে বৈঠক চলছিল। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই সেখানে হামলা চালায়। এই আক্রমণের ঘটনায় ৫ জন সংযুক্ত মোর্চার কর্মী আহত হন এবং তাদের মধ্যে ৩ জন নিখোঁজ। হামলার পরে তৃণমূলকর্মীরা পালাতে গেলে অন্ধকারে পড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন বলেও জানান স্বপনবাবু। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় নামে বিরাট পুলিশবাহিনী। আজই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় দুটি সভা মুখ্যমন্ত্রীর, তার আগেই বারুইপুরের এই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি।