নারদ মামলায় এবার যুক্ত হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম। পাশাপাশি রাখা হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নামও। নারদ মামলা ভিন রাজ্যে স্থানান্তরিত হোক, এই মর্মে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৪০৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ রাজ্যে মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা হতে পারে মনে করছে সিবিআই। এই মর্মে সিবিআইয়ের তরফে বুধবার তাঁদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার নারদ কান্ডে রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পর রাজ্যের শাসক দলের সমর্থকরা নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেস উপস্থিত হন এবং তিনি দাবি করেন তাঁকে গ্রেফতার না করা হলে তিনি সিবিআই দফতর ছাড়বেন না। এরপর নিজাম প্যালেসে একে একে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদেরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নিজাম প্যালেসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মামলার শুনানি চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্যা তৈরি করেছেন বলে দাবি করেছেন সিবিআই। এমন অবস্থায় রাজ্যে মামলা সঠিকভাবে পরিচালিত করা সম্ভব নয় বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মামলা ভিন রাজ্যে স্থানান্তর করা যায় কিনা হাইকোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজাম প্যালেসে বসে থাকাই চার নেতার জামিনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দুপুর ১২ টায় এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। যদিও এই মামলার শুনানি দুপুর ২টোর পর হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। সিবিআই আদালতের কাছে এই মামলা যাতে স্থানান্তরিত করা যায় এবং এই ৪ নেতাকে জেল হেফাজতে রাখা হয় তার আবেদন জানাবে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। হাই কোর্টে অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল করবেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সিদ্ধার্থ লুথরা ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন হাইকোর্টের বাইরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা যাতে অযথা সমস্যা তৈরি না করেন সে বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তিনি বলেছেন, "আমার মনেও আগুন জ্বলছে কিন্তু শান্ত থাকুন। শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের সামনে যাবেন না।"