ভোটের ফলপ্রকাশের পর এই প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় ৯টি জেলার কোভিড পরিস্থিতি ও সরকারি ব্যবস্থাপনা নিয়ে এই ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল আজ। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁর কোনো কথাই শোনেননি প্রধানমন্ত্রী। কাজেই বৈঠক শেষ হতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি মমতার। "জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রাখতে দিনরাত কাজ করছেন সরকারী কর্মচারী ও ব্যাঙ্কের কর্মীরা।নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে আমজনতার সঙ্গে মেলামেশা করে পরিষেবা দিচ্ছেন। অথচ তাঁদের জন্য টিকা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেয়নি কেন্দ্র।" এবার তাঁদের আগে টিকা দেওয়ার কথা ভাবুক কেন্দ্র, বার্তা মমতার।
এরপরই কেন্দ্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, টিকার পর্যাপ্ত জোগান দেওয়া হোক। যাতে রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারীদের টিকাকরণ দ্রুত সেরে ফেলা যায়। শুধু রাজ্য সরকারি কর্মচারী নয়, মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে রেল, বিমানবন্দর, বন্দর, প্রতিরক্ষা, ব্যাংক, বিমা, ডাক, কয়লা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি বিভাগের কথা উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই বিভাগগুলির বহু কর্মী নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে এসে পরিষেবা অব্যাহত রাখছেন। করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে তাঁদের দ্রুত টিকা দেওয়ার প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, এদিন প্রথমে ৯টি জেলার জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গেই বৈঠক করতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কেন বাদ মুখ্যমন্ত্রী? এই নিয়েই শোরগোল শুরু হতেই বৈঠকের নিয়মে আসে রদবদল। এরপরই সূচি বদল করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, প্রধানমন্ত্রী তাঁর কোনো কথাই শোনেনি।