গত ডিসেম্বরে পুরানো পদাধিকারীদের ছেঁটে নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হয় বিজেপির। এই কমিটিতে ঠাঁই হয়নি সায়ন্তন বসু, রিতেশ তেওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদারের মত নেতাদের। যথারীতি দলের অন্দরে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। নতুন করে জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণার পরে সেই বিদ্রোহ আরও বাড়তে থাকে।
ইতিমধ্যেই অন্যতম বিদ্রোহী নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রিতেশ তেওয়ারির বিরুদ্ধে দলবিরোধী আচরণের অভিযোগ তুলে প্রথমে শো-কজ এবং পরে সাময়িক বরখাস্ত করে বিজেপি। এরমধ্য দিয়েই বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছিল কোনও রকম বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিলেই কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে। শনিবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে এই কথাই যেন ফের মনে করিয়ে দিলেন অমিত মালব্য। দলীয় বৈঠকে তিনি কথায় কথায় বুঝিয়ে দিলেন কোনো ব্যক্তি নয় দলই শীর্ষে।
চলতি বছরের শুরুতেই নতুন রাজ্য কমিটির প্রতিবাদে বিদ্রোহ করে দেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনুর নেতৃত্বে এরপর দফায় দফায় বৈঠক হয় বিজেপির বিদ্রোহী নেতাদের। পিকনিকও হয় তাদের। সেখানে আরও অনেকের সঙ্গে হাজির ছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। জয়প্রকাশ, রিতেশদের মত বরখাস্ত করা না হলেও, কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে সায়ন্তন বসু ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়দের। শনিবারের বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য পরিস্কার বুঝিয়ে দেন বিদ্রোহী নেতাদের আমল দিতে নারাজ বিজেপি।