প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দূর্নীতি দেখে নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই আর এবার তথ্য তলব করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। জানা গিয়েছে, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দশটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। গত ১৬ জুন জারি হওয়া একটি নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দেবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। অর্থাৎ ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়ে যারা বর্তমানে চাকরিতে বহাল তাদের যাবতীয় নথি এবার যেতে চলেছে গোয়েন্দার গুদামঘরে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী যে ১০ টি নথি সিবিআইয়ের কাছে পাঠাতে হবে তা হল নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি, যোগদানের রিপোর্ট, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড,টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য, সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশিক্ষণের শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে), পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ‘প্যারাটিচার এগেজমেন্ট লেটার’, আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার সংশাপত্র এবং ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে সেটাও।
ঘটনাচক্রে সোমবার বিধানসভায় শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শিক্ষায় যদি এক লক্ষ চাকরি হয়ে থাকে, তাহলে তাতে ১০০টির ক্ষেত্রে ভুল রয়েছে। তা আমরা শুধরে নেব।" তার এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, "শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে আজ বিধানসভায় স্বীকার করে নিয়েছেন। আজ প্রাথমিক বোর্ড থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তাতে ও প্রমাণিত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা চাই এর সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হোক। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই অপরাধীদের শাস্তি চাই।"
তবে চুপ থাকেনি বিজেপিও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তোপ দেগে বলেন, "আমাদের দাবি, যাঁরা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নয়, যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিতে হবে। সঙ্গে আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত করছে, তাতে গতি এনে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।"