নিন্দুকেরা বলেন, সে রামও নেই সেই রামরাজত্বও নেই। একথা হয়তো তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal) এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যাঁদের নিনাদ গর্জনে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত, তাঁরা এখন জেলবন্দী। একজনের বিরুদ্ধে গরুপাচারের মামলা, অপরজনের বিরুদ্ধে শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) যতই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করুক, অনেকটাই ব্যাকফুটে শাসকদল।
একসময় বীরভূমের বেতাজ বাদশা ছিলেন অনুব্রত মন্ডল। প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে ঘটা করে পুজো দিতেন। গোটা এলাকা হোর্ডিং পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ থাকত। যদিও এবারে সেদৃশ্য চোখে পড়ে নি। গত দশ বছরের ছবি রাতারাতি উধাও। এদিকে সেইদিন তিনি নাকি জেলে বসে খাসির মাংস খাওয়ার আবদার করেছিলেন, খবর সূত্র মারফত। কিন্তু জেল তো! মেলে ইচ্ছেমতো আবদার। একটু নাকি মনোক্ষুন্ন হয়েছিলেন তিনি।
যদিও পরের দিন ছিল রবিবার। জেলের নিয়ম মোতাবেক এদিন দেওয়া হয়েছিল খাসির মাংস। তিনি নাকি খাসির মাংস দিয়ে পেটভরে খেয়েছেন। আসানসোল সংশোধনাগারে দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের আবদার পূরণ করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে তা নিয়ম মেনেই। মোট ৫২৪ জন জেলবন্দির জন্য আনা হয়েছিল প্রায় ৪৪ কেজি মাংস। তিনি নাকি এদিন ভালোই খেয়েছেন।
গরুপাচার মামলায় অনেকটাই বেঘোরে অনুব্রত মন্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে দেদার সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। একসময় বীরভূমে তিনিই ছিলেন এক কথা। তাঁর কথার নড়চড় হওয়ার কোন সম্ভাবনা ছিল না। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। মাঝে মাঝেই খোশমেজাজে দেখা গেলেও তিনি নাকি ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না, সূত্র মারফত খবর তেমনটাই। এদিকে সিবিআই আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে ব্যস্ত। তাঁকে ফের করা হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদ।