কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) ওয়েবসাইটের ওপর আজ নজর ছিল লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার। আসন্ন সেমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইন নাকি অফলাইনে হবে, তা ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল আজ। তবে স্পষ্ট ভাবে কোনও ঘোষণাই হল না। এই নিয়েই কার্যত উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে দ্বিতীয়, চতুর্থ এবং ষষ্ঠ সেমেস্টারের পড়ুয়ারা। হাতে বাকি মাত্র কিছু দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা না করেই, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কলেজ ইন্টারনাল পরীক্ষা নিয়ে ফেলেছে।
অন্যদিকে, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে ফেলেছে ঠিক কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। তবে বরাবরের মতোই উদ্বেগে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের সমস্ত পড়ুয়ারা। এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হওয়া বৈঠকে, অফলাইনে পরীক্ষার সুপারিশ দেওয়া হলেও সুস্পষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। খবর, গতকাল বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে পারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
জানা যাচ্ছে, আগামী ২৭ মে কলেজগুলির প্রিন্সিপালদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কাছ থেকে মতামত জানতে চাওয়া হবে পরীক্ষার বিষয়ে। তারপর ৩ জুন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিন্ডিকেট।
প্রসঙ্গত, আলিয়া থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রবীন্দ্রভারতী থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে সরব হয়েছে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, চলতি সেমেস্টারের শুরুতে অনলাইন ক্লাস নেওয়া হয়। এরপর কলেজ খুললেও ৭৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার নির্দেশিকা থাকার দরুন প্রতিদিন ক্লাস হয়নি। বেশ কিছু কলেজে উপনির্বাচনের জন্য ছুটি পড়েছিল। অতঃপর কলেজ পুনরায় খুলতেই ফের গরমের ছুটি ঘোষণা হয়। অধিকাংশ কলেজে সিলেবাস শেষ হয়নি। আবার সিলেবাস শেষ হলেও উঠে আসছে গাফিলতির অভিযোগ। একাংশের অভিযোগ, সঠিক ভাবে প্রাকটিক্যাল ক্লাস হয়নি। কাজেই, সব মিলিয়ে অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে সরব পড়ুয়ারা।
যদিও একাংশের মতামত, চলতি সেমেস্টারের বেশিরভাগটাই অফলাইনে পড়ানো হয়েছে। তাই অনলাইনের কথা ওঠে কীভাবে? যেখানে আন্দোলন করতে পড়ুয়ারা 'অফলাইন' পদ্ধতি বেছে নিচ্ছে, সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হবে 'অনলাইনে'! তবে এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মতামত, অন্তত সময় দু'মাস বাড়িয়ে কিছুটা সিলেবাস বাদ দিয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হোক। যদিও পড়ুয়াদের কথা মতোন এই পথে হাঁটতে রাজি হবে না বিশ্ববিদ্যালয়।