স্কোর বোর্ডের ট্রেন্ড বলছে ৪-০। অন্তত কয়েক রাউন্ড গণনা হতেই ব্যবধান বাড়িয়ে ক্রমশ জয়ের দিকে এগোচ্ছে ঘাসফুল শিবির। ৩০ অক্টোবর ভোটগ্রহণের পর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল চার কেন্দ্রেই তারা বিপুল ব্যবধানে জিততে চলেছে। দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও শান্তিপুর এবং দিনহাটা নিয়ে প্রবল আশাবাদী ছিল বিজেপি। কারণ একুশের নির্বাচনে এই দুই কেন্দ্রেই জিতে ছিল গেরুয়া শিবির। ওয়াকিবহাল মহলের কৌতূহল ছিল বিজেপি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে নাকি ঘাসফুল ছিনিয়ে নেবে? কয়েক রাউন্ড গণনার পর ট্রেন্ড বলছে ৪-০ গোলের দিকেই এগোচ্ছে শাসকদল।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের দিনহাটা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহ ৯০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে গেছেন। জয় প্রায় নিশ্চিত ধরেই নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতায় এত পতনের কারণ কী? ইতিমধ্যেই উদয়ন শিবিরে সবুজ আবির খেলা শুরু হয়েছে। এই বিপুল ব্যবধান জয়ের দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের গোসাবায় তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত মণ্ডল ১ লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন। জয়লাভ কেবল সময়ের অপেক্ষামাত্র। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জয়ের সেলিব্রেশন।
ভোট গণনার দিন বড় চমক খড়দহ। এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী খড়দহে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রায় ২২ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে। তবে তৃতীয় রাউন্ড গণনার শেষে বড় চমক দ্বিতীয় স্থানে সিপিএমের তরুণ নেতা দেবজ্যোতি দাস। অন্যদিকে শান্তিপুর কেন্দ্রটি একুশের নির্বাচনে বিজেপির দখলে যায়। তবে আজকের ভোট গণনা একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। তবে কয়েক রাউন্ড গণনার পর শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রজকিশোর ঘোষ ১৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে।