সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) প্রয়ানের পর ফাঁকা হয়ে গিয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা আসন। অন্যদিকে আসানসোলের (Asansol) সাংসদ পদ ত্যাগ করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে (TMC) নাম লিখিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। ফলে ফাঁকা দুই আসনে হবে উপনির্বাচন। সমস্ত দলই ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রদুটি থেকে প্রার্থী হবেন কারা? তৃণমূলের তরফে বালিগঞ্জ বিধানসভায় প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুলকে। অন্যদিকে বাবুলের ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূলের তরফে দাঁড়িয়েছেন বরিষ্ঠ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। দুজনেই হেভিওয়েট। আর সোমবার সকালে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন দুজনেই।
এদিন সকালে আলিপুরের সার্ভে অফিসে মনোনয়ন জমা দেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর সঙ্গে যান তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিষ কুমার এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এবং সুদর্শনা ঘোষ। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাবুল বলেন, 'আমার জন্য রাজনীতিতে নতুন যাত্রা শুরু হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ এবং কর্মীদের সহযোগিতা রাজনীতিতে আমার দ্বিতীয় ইনিংসকে প্রথমের থেকে আরও স্মরণীয় বানাতে সাহায্য করবে'। তিনি আরও বলেন, আসানসোলে তিনি যা করবেন বলেছিলেন তাই করে দেখিয়েছেন। সেজন্য কোনও সমালোচনা তাঁর মানসিকতায় সামান্যতম পরিবর্তন করতে পারবে না বলেই আত্মবিশ্বাসী বাবুল।
আসানসোল লোকসভা আসনেও আজ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মনোনয়ন জমা দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে রীতিমতো মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী মলয় ঘটক, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আসানসোলের জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে শত্রুঘ্ন জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের সমর্থন লোকসভা নির্বাচনেও বজায় থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উপর আস্থা রাখায় অত্যন্ত খুশি তিনি। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে প্রচারের জন্য রাস্তায় নামবেন তিনি। যদিও আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপির (BJP) টিকিটে দাঁড়ানো অগ্নিমিত্রা পল জানিয়েছেন, আসানসোল কেন্দ্র থেকে জেতার বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী তিনি।