রাস্তায় পরে আছে অর্ধদগ্ধ এক বৃদ্ধার মৃতদেহ! সকালবেলায় চোখ খুলেই এমন হাড়হিম করা দৃশ্য দেখল বালুরঘাটের বটতলা অঞ্চলের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, ওই বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে ওই বৃদ্ধার পুত্র এবং পুত্রবধূ একসঙ্গে মিলে তাঁকে খুন করেছে। হয়তো মায়ের ভরণ-পোষণ যাতে আর না করতে হয় সেই কারণেই খুনের পরিকল্পনা করে ওই দম্পতি।
সূত্র মারফত জানা গেছে, মৃতার নাম সুভদ্রা রায় ও বয়স ৭৮ বছর। প্রতিবেশীরা জানান, ঐ বৃদ্ধার পুত্র গোপাল রায় এবং তার পুত্রবধু শিল্পী রায় তার ওপর অকথ্য অত্যাচার করত। অত্যাচার বহুবার এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তারা বহুবার সতর্ক করেছেন ওই দম্পতিকে এরকম আচরণ না করতে। কিন্তু কে কার কথা শোনে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ শুক্রবার রাতে মাকে পুড়িয়ে খুন করে ভোররাতে সেই দেহ রাস্তায় ফেলে আসে গোপাল-শিল্পী।
সকালবেলা ওই দেহ দেখে চাঞ্চল্য ছড়ালে পালানোর চেষ্টা করে ধৃত ওই দম্পতি। সেই সময় তাঁদের ধরে ফেলে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। তারাই পুলিশে খবর দেয় ও পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় মৃতদেহটি। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই দম্পতিকে। সম্প্রতি মাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে দেয় ওই দম্পতি। তারপর স্থানীয় এক টোটো চালক সে বৃদ্ধাকে পাশের পাড়ায় মেয়ের বাড়িতে দিতে গেলে মেয়েও মায়ের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে। ইতিমধ্যেই বৃদ্ধার আরেক ছেলে শংকর রায়কে খবর দিয়েছে পুলিশ। সে অবশ্য শিলিগুড়িতে কর্মরত।