ফের মানবিকতার নজির সৃষ্টি করলেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। মায়ের অন্তিম যাত্রার সঙ্গী হতে পারবেন মেয়েরা। শেষ সময়ে মায়ের চরণ স্পর্শ করে চোখের জলে বিদায় দেবেন তাঁরা। দেশকালের বেড়া ভেঙে বড়ো হয়ে ওঠে মা-মেয়ের গল্প। সেখানে কাঁটাতার হয়ে যায় ব্রাত্য। আর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত (India) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) সীমান্তরক্ষী বাহিনী সেই সুযোগ করে দিয়ে তৈরি করলেন অনন্য নজির।
রবিবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান তাঁরা। নদিয়ার মাটিয়ারি গ্রামের রোহতন বিবি গত হয়েছেন। দুই মেয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চুয়াডাঙা জেলার জীবননগর এবং হরিহরনগর। মায়ের মৃত্যুতে মন আর বাধা মানতে চায়নি। শেষবারের মতো মাকে কি তাঁরা আর দেখতে পাবেন না? দুই মেয়ের সেই ইচ্ছে পূরণ করলেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তৈরি করলেন মা-মেয়ের সম্পর্কের বাঁধনে আলগা হয়ে পড়ে কাঁটাতারের বেড়া।
দুই মেয়ে মোমিনা মন্ডল এবং খাতুনা বিবি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BGB) তৎপরতায় জিরো পয়েন্টে (Zero Point) উপস্থিত হন। সেখানেই শায়িত ছিল মায়ের দেহ। দু'চোখ ভরে শেষবারের মতো মায়ের সঙ্গে মিলিত হলেন তাঁরা। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, এই দৃশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও হয়েছে। চলতি বছরের মার্চেও এমন ঘটনা ঘটেছে। যেখানে বাংলাদেশের তিন মেয়ে, শেষবারের মতো তাঁদের মা-কে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানবিকতাই সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, একথা প্রমাণিত হল, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।