এলাকায় কয়েকটি কুকুর খেলা করত, যার তার বাড়িতে খাবার খেত। আচমকাই উধাও, আর দেখা নেই। রহস্যজনক ভাবে নিরুদ্দেশের ঘটনায় এলাকার এক ব্যক্তির দিকেই সন্দেহ ছিল অনেকের, কিন্তু প্রত্যক্ষ কোন প্রমাণ নেই। পরে সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় কয়েকটি কুকুরের দেহ। ঘটনার পর তুমুল চাঞ্চল্য। উত্তেজিত জনতা খবর পাঠায় পুলিশে। অবশেষে অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির শ্রীঘরে ঠাঁই।
ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) বনগাঁর গঙ্গানন্দপুর এলাকার। এলাকায় আচমকাই আট দশটি কুকুর উধাও হয়ে যায়। একসঙ্গে এতগুলো কুকুরের উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকার এক ফুলচাষী জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে সন্দেহ করেন অনেকেই। নিজের রজনীগন্ধা ফুলচাষে বড্ড ক্ষতি করছিল কুকুরগুলি এমন অভিযোগ তিনি নাকি আগে করেছিলেন। পরে যখন তার বাড়ি থেকেই পাঁচটি কুকুরের দেহ বের হয়, ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় স্থানীয় থানায়। সারমেয় খুনের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে সূত্রের খবর।
কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? সূত্রের খবর, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর মণ্ডল নাকি খাবারের সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে কুকুরগুলিকে মেরে ফেলেছেন। এর আগেও নাকি ফুলের ক্ষেত থেকে কুকুগুলিকে কীভাবে দূরে রাখা যায়, তার নানা ফন্দি ফিকির করেছিলেন। কাজ না হওয়ার কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়। পুলিশ এসে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে গ্রেফতার করে।