বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ থেকেই। আর গতদিনই বিজেপি বিরোধীতায় বাংলায় ১৭৫ আসনে প্রার্থী দিতে চেয়েছে ভারতীয় জনসংঘ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় জনসংঘ থেকেই বিজেপির উৎপত্তি এবং এই জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আসলে জনসংঘের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরই আত্মীয় বলে পরিচয় দেন তিনি নিজে। গতকাল গাইঘাটায় ঠাকুরনগরের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি ইতিমধ্যেই পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। বাকি আসনগুলোতে খুব শীঘ্রই প্রার্থী ঘোষণা করবে জনসংঘ।
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রে অরবিন্দ বিশ্বাস,বাগদা কেন্দ্রে শিশির সরকার, গাইঘাটাতে সজল বিশ্বাস, হরিণঘাটা কেন্দ্রে বর্ষা দাস বিশ্বাস ও হাবরা কেন্দ্রে কিশোর বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে ভারতীয় জনসংঘ। বিজেপি জনসংঘের অংশ হয়েও তার বিরুদ্ধে কেন এই জনসংঘ? এদিন সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানান সুব্রতবাবু, "শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ থেকে বর্তমান বিজেপি সরে গিয়েছে। কর্পোরেটদের হাতে চলে গিয়েছে। মোদি ও শাহ দেশকে বিক্রি করে দিতে চাইছে। আমরা এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে ঘুরে দাঁড়া করানোর চেষ্টা করছি। সেই কারণেই আমরা এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলাম।" গাইঘাটা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে টিকিট পেয়েছেন শান্তনু ঠাকুরের দাদা সুব্রত ঠাকুর এবং এর ফলে সেখানকার বিজেপিরই একাংশ যারা প্রার্থী হবার যোগ্য দাবিদার মনে করেছিলেন নিজেদের, বিক্ষুব্ধ তারাও। এই বিক্ষুব্ধ কর্মীদেরই একাংশ বিজেএসের সাথে যোগাযোগ করেন। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী অরবিন্দ বিশ্বাস এবং হাবরা কেন্দ্রের প্রার্থী কিশোর বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থেকেও অবশেষে জনসংঘের ছত্রছায়ায় এলেন। অন্যদিকে বাগদার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক দুলাল বর সুব্রতর টিকিট পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জনসংঘের প্রার্থী হবার জন্য যোগাযোগ করেন, যদিও পরে পিছিয়ে আসেন। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য জনসংঘকে একপ্রকার 'অপ্রাসঙ্গিক' মনে করেই গুরুত্ব দিতে নারাজ।