আর একদিন বাদেই ৩০টি আসনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ। হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের মহারণও এদিনই। মমতা-শুভেন্দু-মীনাক্ষী ত্রিমুখী লড়াইকে কেন্দ্র করে এমনিতেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, এরই মধ্যে নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হল শাসকদল তৃণমূল। একইসঙ্গে তাকে খুনেরও চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গতরাতে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেতুলবাড়িতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঠিক কি হয়েছিল? স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নির্যাতিতার স্বামী বিজেপি করার জন্য বেশ কয়েকবার 'তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী'-দের রোষের মুখে পড়তে হয়। তাকে একাধিকবার হুমকিও দেয় দুষ্কৃতীরা। গতদিন শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি থেকে বিকেলে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ঘরে দেখতে পাননি তিনি। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে দেখেন বাড়ির পিছনের খালে মুখ হাত পা বাঁধা ও গলায় আঁচলের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে আছেন স্ত্রী। সম্পূর্ণ অচৈতন্য অবস্থায় তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় খাল থেকে তুলে আনা হয়। একাধিক আঘাত, জখম ও ধর্ষণের চিহ্ন তার শরীরে মিলেছে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে তাকে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা হাসপাতালে। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিতা।
এই বীভৎস ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বভাবতই ফের একবার অশান্ত নন্দীগ্রাম। স্থানীয় বিজেপি এই ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন, "তৃণমূল নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। তাই এরকম খুন ধর্ষণের রাজনীতি করে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।" যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।