আজ রাত পোহালেই প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে বেশ কয়েকটি আসনে। শালবনিও তারই মধ্যে একটি কেন্দ্র। আর ভোটের ঠিক আগের দিনই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এলাকায়। গত পরশুদিনই দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় এবং এই কাজের জন্য সরাসরি বাংলা শাসকদলের 'আশ্রিত দুষ্কৃতী'-দেরই দায়ী করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। দিনহাটা কান্ডের ৪৮ ঘন্টা না পেরোতেই ফের শালবনিতে বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুতেও সেই তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।
ঠিক কি হয়েছিল? স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শালবনিতে বছর বাইশের মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম লালমোহন সোরেন। আজ সকালে শালবনির বাগমারি এলাকা থেকে লালমোহনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লালমোহনের বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে একটি গাছের ডাল থেকে ঝুলতে দেখা যায় লালমোহনের দেহ। লালমোহনের কাকা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূলের আশ্রিত গুন্ডারাই এই কাজে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন তারা।
তবে কেন লালমোহনকে হত্যা করা হয়েছে? স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গেছে তাদের দেওয়াল লেখা, পতাকা লাগানো সবেতেই বাধা দিত তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। লালমোহন প্রতিবারই তার প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের টার্গেট হয়ে যায় লালমোহন। এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করে বিজেপি কর্মীদের ওপর ভীতি প্রদর্শন করতেই এহেন কাজে লিপ্ত হয়েছে তৃণমূল, জানান গেরুয়া দলের ক'জন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুলিশের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবককে আগে হুমকি দেওয়া হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে পরিবারের তরফে এখনও কিছু জানা যায়নি। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার ও বিজেপি নেতা কর্মীরা। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক বিবাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।