এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম যে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে, তা চণ্ডীপুরের সভা থেকে স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজকের সভা থেকে স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন দ্বিতীয় দফা ভোট পর্যন্ত নন্দীগ্রামেই থাকছেন। পরপর তিন দিন নন্দীগ্রামে সভা করবেন। এর আগে তৃণমূল নেত্রী নন্দীগ্রামে ঘরভাড়া নিয়েছিলেন, এ দিনের সভা থেকে স্পষ্ট করে দিলেন এ কয়েক দিন তিনি নন্দীগ্রামেই থাকছেন।
চণ্ডীপুরের সভা থেকে নাম না করে একের পর অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তা রাজনৈতিকএকাংশেরমত। তিনি বলেছেন, "কে টাকা নিচ্ছে, কার বাড়িতে ছড়াচ্ছে, সব জানি। এমনি জেতার ক্ষমতা নেই। কাঁথি - ভগবানপুরে কারা সমঝোতা করেছে জানি। কাঁথিতে টাকা ছড়াচ্ছিল জ্যাঠার ছেলে। ওটা কার টাকা? এত পেট্রোল পাম্প, ট্রলার, লঞ্চ, সমবায় ব্যাঙ্কে এত টাকা কোথা থেকে এল? ভাবছো জানি না? সব জানি।"
তৃণমূল নেত্রীর আরও অভিযোগ মহিলাদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "এবার মারতে এলে হাতা - খুন্তি - বটি নিয়ে তেড়ে যাবেন। বুথ থেকে বের করে দিতে এলে বিদ্রোহ করবেন।"
মুখ্যমন্ত্রী এদিনের সভায় বিজেপি এবং সিপিএমের উদ্দেশ্যে কঠোর ভাষায় অভিযোগ করেছেন যে এই 'জগাই - মাধাই' যত গণ্ডগোল করছেন। তাঁর অভিযোগ, "কে কোথায় ঘুরছে , কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে সব দিকে নজর রাখছি। আমাদের দোষ বড় বড় গদ্দার পুষেছি, মিরজাফর পুষেছি।" মুখ্যমন্ত্রীর আজকের এই রাজনৈতিক সভা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল তা রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশের মত।