প্রথম থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা করে আসছিলেন করোনা ভাইরাসের সমস্ত সম্ভাবনা উপেক্ষা করেই। কিন্তু, যখন ভারতে এবং পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে গিয়েছে সেই সময় কি এরকম জনসভা করা ঠিক? এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল সব মহল। বেড়েই চলেছিলো প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সমালোচনার বার্তা। তাই এবারে চাপের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হলো ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবার যে সভা নরেন্দ্র মোদী করতে চলেছেন সেখানে সর্বাধিক উপস্থিত থাকবে ৫০০ জন। সোমবার রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করলেন।
তিনি জানিয়েছেন আগামী ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে চারটি জনসভা করতে চলেছেন। কিন্তু এই চারটি জনসভায় সর্বাধিক উপস্থিতি থাকবে ৫০০ জন। এছাড়াও সমস্ত ধরনের করোনা সতর্কতা মেনে চলতে হবে এবং সকলকে মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য সমস্ত ধরনের করোনা ভাইরাস সর্তকতাবিধি মেনে তার পরেই সেই জনসভায় উপস্থিত থাকতে হবে। এই মাসের প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হতে শুরু করেছে। তার মধ্যে চলছে নির্বাচন। একের পর এক জনসভায় মাঠে ভরাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সমস্ত দল ইতিমধ্যেই তাদের প্রচার কর্মসূচী কাটছাঁট করে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপির সেরকম কোনো রকম ভ্রুক্ষেপ দেখা যাচ্ছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে হাজিরা বেঁধে দিতে হলো বিজেপিকে।