একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল রায় (Mukul Roy) বিজেপির (BJP) বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই তিনি তাঁর পুত্রের সাথে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগদান করেন। এই নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এবার মুকুল রায় বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। খাতায়-কলমে বিজেপি প্রতীকে জিতে মুকুল রায় বিধায়ক হলেও তিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাই এই বিষয়ে গলায় সুর তুলেছে গেরুয়া শিবির। আসলে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বিধানসভার একটি দল যা রাজ্য সরকারের খরচের ওপর নজর রাখে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সাধারণত এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় বিরোধী বিধায়কদের। মুকুল রায় এই পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর গেরুয়া শিবির দাবি করেছে, "মুকুল রায়ের বিধায়ক থাকার অধিকার নেই। তার পরেও তিনি কি করে পিএসসির চেয়ারম্যান হওয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন?"
বিধানসভার সূত্রে জানা গিয়েছে এই পিএসসি চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের চিঠি পাঠিয়েছেন মুকুল রায়। এই কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ২০ জন। তারমধ্যে ১৪ জন শাসকদলের থাকবেন। এই কমিটিতে বাকি ৬ জন গেরুয়া শিবিরের হবে। গেরুয়া শিবির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই অশোক লাহিড়ী, মনোজ টিগ্গা, শুভেন্দু অধিকারী, নির্মাল ধারা, পবন সিং এবং বঙ্কিম ঘোষের নাম জমা পড়েছে। মুকুল রায় এর চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, মুকুল রায়ের তো বিধায়ক থাকার নৈতিক, "রাজনৈতিক কিংবা সাংবিধানিক কোনো অধিকার নেই। তাহলে কিভাবে উনি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা করলেন? এটাই প্রমাণ যে তৃণমূল কোন সাংবিধানিক রীতিনীতি ধার ধারে না।"