বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদলের প্রধান বিরোধী বিজেপি উত্তোরোত্তর ভারী করছে তাদের প্রতিশ্রুতির ঝুলি। আগেও, ক্ষমতায় এলে ৭৫ লক্ষ বেকারকে চাকরি দেবেন বলে দলীয় সভা থেকে প্রতিশ্রুতি দেন সৌমিত্র খাঁ- মুকুল রায়রা, যদিও সে বক্তব্য পরে নিজেরাই সংশোধন করে নেন। আর এবার বর্ধমানের খন্ডঘোষ থেকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ-সাথীর সাইকেলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। "বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সাইকেলের পরিবর্তে প্রত্যেককে স্কুটি দেওয়া হবে", এমনটাই প্রতিশ্রুতি দেন সৌমিত্র। পাল্টা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তৃণমূল মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন বাংলা দখল এত সোজা নয়, তাই উল্টোপাল্টা বকছেন তিনি।
প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণেও সুর চড়ালেন সৌমিত্র। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিজেপিকে "ঠেঙিয়ে পগার পার" করার পাল্টা বলেন,"বিজেপিকে ঠেঙ্গিয়ে পগার পার করার আগে উনিই চলে যাবেন রাজনীতি থেকে।" তৃণমূলের লোগোকেও কটাক্ষ করে বলেন, "জোড়া ফুলের একটি ফুল হল অভিষেক আর অন্যটি ফিরহাদ হাকিম।" অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের ওই বিতর্কিত পোস্টের প্রসঙ্গ টেনেও একহাত নিয়ে বলেন, "দেবী সরস্বতীকে যৌনকর্মী বলেছেন সায়নী ঘোষ। আমরা মনে করি, শিবলিঙ্গকে যারা অপমান করে, যারা মা মনসাকে অপমান করে, তারাই আসলে যৌনকর্মী।" সৌমিত্রর এদিনের সভায় একাধিক বেলাগাম মন্তব্যের জবাবে খন্ডঘোষের তৃণমূল সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন,"আজ বিজেপির সভায় লোক হয়নি। তাই যা খুশি বলে চমক দিচ্ছে। এখানে বিজেপির কোনও স্থান নেই। লোকসভা ভোটে সৌমিত্রকে খণ্ডঘোষের মানুষ ডজন গোল দিয়েছে।"