বঙ্গ রাজনীতিতে ‘খেলা চলছে’। আর এই ‘খেলা’য় লিডস টেস্টে ভারতীয় দলের থেকেও খারাপ দশা বঙ্গ বিজেপির। ৩০ তারিখ ব্রাত্য বসুর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। সেই থেকে উইকেট পড়া শুরু। ৩১ তারিখে তন্ময়কে অনুসরন করে ‘ঘরে’ ফেরেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দিন চারেক যেতে না যেতেই আরও এক বিজেপি বিধায়ক দলবদল করে নাম লেখালেন তৃণমূলের খাতায়। এবার ঘরে ফিরলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়।
শনিবার কলকাতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিলেন বিদায়ী বিজেপি বিধায়ক। সৌমেনের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে পার্থবাবু বলেন, তিনিও বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখতে চান। সেই জন্যই তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। উল্লেখ্য, সদ্য ‘ঘরে’ ফেরা দুই বিজেপি বিধায়কের মতো সৌমেনবাবুও প্রথমে তৃণমূলেই ছিলেন। কিন্তু ভোটের আগে তিনি দল পরিবর্তন করে বিজেপির খাতায় নাম লেখান। সৌমেনের দল পরিবর্তনে রাজ্য বিজেপির বিধানসভা আসন ৭৭ থেকে কমে বর্তমানে ৭১।
এতদিন উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এবার সেখানেও আঘাত হানল সৌমেনের দলবদল। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, কোনোরকম বাছবিচার না করেই অন্য দল থেকে লোক ভাঙিয়ে এনে নেতা বানানোর খেসারত দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। তবে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়কের রাজনৈতিক দলবদল রাজ্য রাজনীতি এবং বঙ্গ বিজেপির ভবিষ্যতের উপর কি প্রভাব ফেলবে তা সময়ই বলবে।