দিন কয়েক আগেই বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিজেপির বিধায়ক চন্দনা বাউরি নিজের গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুকে বিয়ে করেছেন। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই, কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু থানায় অভিযোগ করেন। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। একই সুরে অভিযোগ অস্বীকার করেন চন্দনার স্বামী শ্রবণ বাউড়িও।
তবে বিরোধী দলের এমন কর্মকান্ডে স্বাভাবিকভাবেই জল গড়ায় বহু দূর। তার মধ্যেই এদিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হল চন্দনা বাউরির গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুকে। জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় কৃষ্ণ কুণ্ডুকে।
প্রথম দিনের মতোই এদিনও কৃষ্ণ কুণ্ডুর পাশে ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী রুম্পা কুন্ডু। তাঁর দাবি, "দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কৃষ্ণ। আমার স্বামীকে বিয়ে করার পর এখন অস্বীকার করছেন চন্দনা। তা নিয়ে অশান্তির জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আমার স্বামী।" বর্তমানে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিধায়ক। তবে চন্দনাদেবীর স্বামী শ্রাবণ বাউড়ি বলছেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগসাজোশ করেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে কৃষ্ণ।"
তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে অনেকেই। কারণ, বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসাবেই এলাকায় পরিচিত কৃষ্ণ কুণ্ডু। এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার সময় থেকেই চন্দনাদেবীকে নিজের গাড়ি করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া-আসা করতেন কৃষ্ণ। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। সম্প্রতি কৃষ্ণর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে স্বামী শ্রাবণের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে চন্দনার।