বরাবরই তিনি ভিন্ন গোত্রের। সোজা কথাকে সোজা ভাবেই বলতে পছন্দ করেন। কখনও নিজের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন, আবার কখনও বিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে ছাড়েন বুমেরাং। এবার 'দাদু' বলায় কি ক্ষুব্ধ হলেন তথাগত রায়? স্যোসাল মিডিয়ায় এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। সম্প্রতি তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) একটি পোস্টকে ঘিরে স্যোসাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। পক্ষে বিপক্ষে শুরু হয়েছে কাদা ছোঁড়াছুড়ি।
কী সেই পোস্ট? বিজেপি নেতার সাম্প্রতিক পোস্টটি ছিল এইরকম, "যারা আমাকে 'দাদু' সম্বোধন করে তাদেরকে আমার আশীর্বাদ জানাই। শুধু সেই সব নাতি-নাতনিদের কাছে একটা প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই পাচ্ছি না। 'দাদু' মানে তো বাবার বাবা ও মায়ের বাবা দুই-ই হয়। আমি তাদের মধ্যে কাদের বাবার এবং কাদের মায়ের জন্ম দিয়েছিলাম?" তাঁর এই পোস্টের প্রছন্ন ইঙ্গিত নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। তাঁদের স্পষ্ট জবাব, এমন একজন ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে এ হেন 'কুরুচিকর' মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়। তিনি এই কথার মধ্য দিয়ে ইঙ্গিতে কী বোঝাতে চাইছেন, তা সকলের কাছে স্পষ্ট। এমন কথা উনি বলেন কীভাবে সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।
অন্যদিকে, একদল তথাগতপন্থী মানুষের সপাট জবাব, ইঁট ছুঁড়লে তো পাটকেলটি খেতে হয়। তাঁদের দাবি, কাউকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্য নিয়ে 'দাদু' ডাক কখনোই শোভনীয় নয়। বরং এখানে তাঁদের নিম্নরুচির পরিচয় প্রকাশ পায়। অপর পক্ষের আবার যুক্তি, কোন বিষয় নিয়ে তথাগত বাবুর অপছন্দ থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁর মতো এমন একজন ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে এমন মন্তব্য কি প্রত্যাশিত? ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি আর একটু সচেতন হওয়া যেত না? পক্ষ এবং বিপক্ষের প্রশ্নবাণে ছয়লাপ স্যোসাল প্ল্যাটফর্ম।
এই প্রথম বিতর্ক নয়। এর আগে দিলীপ ঘোষের 'কন্যাশ্রী' বানান ভুল নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি সরাসরি বলেছিলেন, "এই জন্যেই বিদ্যাসাগর মশাই বলে গিয়েছেন, 'মূর্খের' অশেষ দোষ”। পোস্টারটা যে ছেপেছে তার কথা বলছি। বাংলা বর্ণমালার হ্রস্ব-ই বর্ণটা পর্যন্ত চেনা যাচ্ছে না!" আবার নির্বাচনের সময় মদন মিত্রের সঙ্গে গঙ্গাবক্ষে সফর করেছিলেন বিজেপির তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি বলেছিলেন, "নগরীর নটী চলে অভিসারে যৌবনমদে মত্ত!" এবার আবার নতুন করে 'দাদু' সম্বোধনে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।