ভোট পরবর্তী হিংসার বলি কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ সৎকারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এনআরএস হাসপাতালের মর্গে। গতকালই ডিএনএ পরীক্ষার পর আদালত অভিজিৎ সরকারের দেহ শনাক্ত করে তা সৎকারের নির্দেশ দেয়। আর তা নিয়েই আজ উত্তেজনা চরমে ওঠে নীলরতন সরকার হাসপাতালে। যার জেরে কর্তব্যরত হোমগার্ডকে চড় মারলেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি।
এদিন মৃতদেহের এনওসি সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিজিতের দেহ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শেষপর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এনওসি সার্টিফিকেট। আর এর মাঝেই সেখানে থাকা পুলিশের এক হোমগার্ডকে চড় মারেন দেবদত্ত। আর এই চড় মারাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
চড় মারার ঘটনাকে প্রথমে অস্বীকার করেন দেবদত্ত। কিন্তু কিছুক্ষন পরেই উল্টো কথা শোনা যায় তাঁর থেকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, পরিস্থিতির চাপেই তিনি চড় মারতে বাধ্য হয়েছেন। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা দাবী করেন এনআরএসে তাঁদের সাথে পুলিশ অসহযোগিতা এবং দুর্ব্যবহার করেছে। যার জেরেই তিনি কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে চড় মেরেছেন।
বিজেপি নেতার ‘চড় কাণ্ডকে’ সমর্থন করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, সরকারের গালে চড় মারা উচিত ছিল। হোমগার্ডকে মেরেছে, ঠিক করেছে। সাথে তাঁর সংযুক্তি, একজন হোমগার্ডের এত ক্ষমতা হয় কি করে? দিলীপের মন্তব্যের পাল্টা দিতে ছাড়েননি তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষও। তাঁর কথায়, নিম্নরুচির পরিচয় দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।
আজ এনআরএস থেকে অভিজিত সরকারের মৃতদেহ সংগ্রহ করে তা প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মুরলিধর দেন লেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা। সূত্রের খবর, সেখান থেকে কাঁকুড়গাছিতে নিয়ে যাওয়া হবে অভিজিতের মৃতদেহ। সেখানেই সম্পন্ন হবে তাঁর শেষকৃত্য।