রবিবার বিকালে দুষ্কৃতিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত বিজেপি নেতা মনীশ শুক্ল খুনের রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে একটি রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে। রবিবার সকালে টিটাগড়ে ৮ নং ওয়ার্ডের শাসক দলের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল একটি রক্তদান শিবিরে। সেই শিবির থেকেই আওয়াজ ওঠে 'ওদের মনীশ শুক্ল আছে, আমাদেরও আরমান আছে'। রক্তদানের মতো এরকম সমাজসেবামূলক অনুষ্ঠানে এরূপ বার্তা স্বাভাবিক ভাবেই সন্দিহান করছে সকলকে। তবে কে এই আরমান নামক ব্যাক্তি? জানা গেছে, আরমান টিটাগড়ের কুখ্যাত দুষ্কৃতি। কিছুদিন আগেই জেল খেটে ফিরেছে। কিন্তু তার সঙ্গে মনীশ শুক্ল খুনের আদেও কি সম্পর্ক রয়েছে? সকালে রক্তদান শিবির থেকে ওইরকম হুমকি বার্তা যাওয়ার পর সেদিন বিকালেই খুন হন বিজেপি নেতা।
মনীশ শুক্লের সাথে এলাকার অনেক 'কুখ্যাত' লোকজনের ওঠাবসা। তাদের সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় কি এরকম পরিণতি হল মণীশের? তবে পুরোটাই যে পরিকল্পিত খুন সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। দুষ্কৃতিরা বেশ কিছুদিন ধরেই হয়ত নজর রাখছিল মণীশের ওপর। নয়ত সেদিনেই মনীশের দু-জন দেহরক্ষীর ছুটি নেওয়ার কথা জানার কথা নয় তাদের। এছাড়াও রাস্তার ওপরের সিসিটিভি টাও উধাও খুনের পরের মুহুর্তে থেকে। সবমিলিয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছেনা মনীশ শুক্লের খুনের আসল রহস্য।
পুরোনো শত্রুতা না রাজনৈতিক কলহ নাকি সর্ষের মধ্যেই আছে ভূত। এই খুনের মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডির হাত। এদিন দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টিটাগড়ে প্রায় রণক্ষেত্রর চেহারা নেয়। শুধু টিটাগড় নয় এদিন মনীশের দেহ এনআরএসে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। একটাই দাবী তাদের প্রিয় 'বাহুবলী' নেতার খুনীদের চরমতম শাস্তি।