বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশ হলো উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের। তার মধ্যে চারটি রাজ্যেই পূর্ণ ক্ষমতায় সরকার গড়তে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই পাঁচটি রাজ্যের সর্বমোট আসন সংখ্যা মিলিয়ে হলো ৬৯০ যার মধ্যে ৩৭১ টি আসন পেয়েছে বিজেপি জোট। অন্যদিকে, বিরোধীদের প্রাপ্ত মোট আসন সংখ্যা জুড়লে সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৩১৯। পরিসংখ্যানের দিক থেকে দেখতে গেলে বিরোধীরা বলছে, যদি তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করতো তাহলে পরিসংখ্যান হয়তো অন্যরকম হতে পারতো। দুই পক্ষের ব্যবধান মাত্র ৩৫২ আসনের। এই ব্যবধান সহজেই টপকে যেতে পারত বিরোধীরা। কিন্তু এটা কি সত্যিই হচ্ছে?
বিধানসভা ভোটের আগে বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি বিরোধীদল। এরমধ্যে প্রমূখ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়ায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস দাঁত ফোটাতে পারলেও, জোট গড়ার স্বপ্ন কার্যত অধরাই থেকে গিয়েছে। বরং বলতে গেলে ভোটের প্রচার এর মাটিতে একেবারে উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও প্রচারে তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে তাল ঠুকতে শুরু করেছেন, যা প্রকারান্তরে সুবিধা করে দিয়েছে বিজেপিকে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেরাও বিরোধীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চায়নি। কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। উত্তরপ্রদেশে ১২৬ টি আসন পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং বিএসপি পেয়েছে যথাক্রমে দুটি এবং একটি আসন।
বিরোধীরা যতই বলুন না কেন, কংগ্রেসের কিন্তু হাওয়া একেবারেই শেষ। এই মুহূর্তে যদি সমস্ত ধন একসাথে লড়াই করতো, তবুও বিজেপিকে আটকানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। অন্যদিকে ভোটের পরিসংখ্যান বলছে বিজেপির একার প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ৩৫৬। বিজেপি জোট পেয়েছে ৩৭১ আসন। চার রাজ্যে জয়ের দিন নরেন্দ্র মোদী দলের সদর দপ্তর থেকে বললেন, এই জয় বলে দিচ্ছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ফের জিতবে বিজেপি। সম্ভাবনা কার্যত ঠিক। বিরোধীদের কেউ কেউ বলছেন, বিজেপিকে আটকাতে গেলে সবাইকে একসাথে জোট বদ্ধ ভাবে লড়তে হবে, কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব?