এ যেন মা-ছেলের একসঙ্গে লড়াই। ছেলে জিতলেন, সঙ্গে মা-ও। সংসারে অভাব তো ঘুচল, সঙ্গে এতদিন ধরে চলা সমাজ পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেল। ছেলের তিন বছর বয়স থেকেই মায়ের লড়াই শুরু হয়েছিল। এবার একটু নিশ্চিন্তি। সংসারের হাল ধরবেন উপযুক্ত ছেলে। মায়ের দুঃখের দিন ঘুচল এবার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পড়ুয়া বিশাখ মণ্ডল (Bisakh Mondal)। প্রায় একই সঙ্গে গুগল (Google) এবং ফেসবুক (Facebook) থেকে বার্ষিক প্রায় ২ কোটি টাকা চাকরির অফার। গুগল থেকে বার্ষিক ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা এবং ফেসবুক থেকে ১ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বার্ষিক চাকরির প্রস্তাব। একসঙ্গে জোড়া চাকরির প্রস্তাব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র বিশাখের। তবে তাঁর ঝোঁক ফেসবুকের দিকেই বেশি।
বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা বিশাখ। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন থেকে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তুখোড় বিশাখ। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর স্থান ছিল দ্বাদশ। জয়েন্টে দারুণ রেজাল্ট। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা। মা আইসিডিএস কর্মী। ছোট থেকেই অনেক কষ্টে ছেলেকে বড় করেছেন। বাবা একজন সাধারণ কৃষক। সংসারে শত অভাব সত্ত্বেও ছেলের পড়াশোনায় কোন খামতি রাখেননি তাঁরা। আর আজ এতদিন পর তাঁদের স্বপ্নপূরণ হল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বরাবরই ভালো প্লেসমেন্ট দিয়ে আসছে। দেশের নামকরা আইআইটি (IIT) গুলোর মতোই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বড় অঙ্কের চাকরির প্রস্তাব পাচ্ছেন। আর বিশাখের তো কথাই নেই। একসঙ্গে জোড়া অফার। মা-ছেলের এতদিনের লড়াই শেষ হল। তবে মায়ের শেষ, এবার ছেলের শুরু।