মমতা ব্যানার্জির স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে যাতে কোন মানুষ হাসপাতাল থেকে ফিরে না যান সেই জন্য নার্সিংহোমগুলির রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন কমিটি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সেই কমিটিতে রয়েছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, অর্থসচিব মনোজ পন্থ, এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরূপ নিগম। তিন-চার দিনের মধ্যে আলোচনা করে ওই কমিটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে কতটা কি রেট নির্ধারণ করা যায় তা ঠিক করবে বলে জানা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে কোনভাবে অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার এমনভাবে রেট নির্ধারণ করবে যাতে বেসরকারি হাসপাতাল এবং রাজ্য সরকারের কোনো রকম অসুবিধা না হয়।
এদিন প্রেস বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ সালের রেট এখনো চলছে। এর ফলে নার্সিংহোমগুলির সমস্যা হওয়া খুব স্বাভাবিক। ইতিমধ্যে, ৭৫ লক্ষের বেশি মানুষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেয়ে গিয়েছেন।আমি চাইছি যাতে রাজ্যের সকলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করান এবং এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। সমাজ জীবনের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসার সুযোগ পেতে চলেছেন। এছাড়াও আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুয়ারে সরকার কর্মসূচির পঞ্চম পর্ব চলবে। যাতে আরো ভালোভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় সে জন্য তৎপর রাজ্য সরকার। মানুষের সাড়া যেভাবে এই পর্যন্ত পেয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প, তাতে করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের তারিখ আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।