আগামী ১৯ তারিখে কলকাতায় (Kolkata) পুরভোট। এই শুক্রবার প্রচারের শেষদিন। তাই প্রত্যেক বিরোধী শিবির নিজেদের মতো করে প্রচারকার্য চালাতে ব্যস্ত। ভোট আবহ এখন রাজ্য জুড়ে। কিন্তু এই ভোট আবহেই বড়োসড়ো ধাক্কা খেল বিজেপি (BJP)। বিজেপি এই পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) দারস্থ হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে দারস্থ হওয়ার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল বিজেপির। কারণ আজ বিজেপির দাবি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অগত্যা কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) উপরেই আস্থা রাখার কথা জানিয়েছে আদালত। কিন্তু এই বিষয়টি সহজভাবে নিচ্ছে না বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পরেছেন বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারা বিজেপির মামলা খারিজের বিষয়টি উল্লেখ করে সিঙ্গুরের ধর্না মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন "হাইকোর্ট দায়িত্বটা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দিল। এখন সেনা নামাক, আধা সামরিক বাহিনী নামাক আর সিভিক ভলান্টিয়ার নামাক, অবাধ করানোর দায়িত্ব ওদের। করতে পারবে বলে আমাদের ভরসা নেই। ভোট লুঠ হলে রাজ্যজুড়ে প্রতিক্রিয়া হবে। কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।" অপরদিকে সুকান্ত মজুমদার আবার নবান্ন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন।
বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল যে পুরভোটের আগেই তাঁদের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিজেপির যে চারজন প্রার্থী অভিযোগ জানিয়েছেন যে তাঁদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে কলকাতা পুলিশ। তাই উক্ত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। তবে এই রায় শুনে থেমে থাকেনি বিজেপি। তারা পুনরায় ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে। আগামী শুক্রবার মামলাটির শুনানি হতে পারে, এমনটাই জানা যাচ্ছে।