বিবর্তনের দীর্ঘ যাত্রাপথে বাঁদর থেকে মানুষে পরিবর্তন হওয়ার সময় মানুষ তাদের লেজ হারিয়েছে। সেই লেজ এখন পায়ুদ্বারের কাছে "কক্সিস" নামক একটি ছোট্ট হাড়ে রূপান্তর হয়েছে। তবে সম্প্রতি বাঁকুড়ার কাঠজুড়িডাঙার বাসিন্দা মলিনা কর্মকারের শরীরে লেজের মত অংশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল আবার কি তাহলে মানুষ শিম্পাঞ্জির পথে এগোচ্ছে? আসলে মলিনা কর্মকার বছর একান্নর এক মহিলা। হঠাৎই লেজের জায়গায় উচুঁ মতো কিছু একটা বের হওয়াই চিন্তায় পড়ে যান তিনি। তাই তিনি তড়িঘড়ি বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য যায়। বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে প্রার্থমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুঝতে পারে লেজের মত জিনিসটা হল আদতে টিউমার। ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম সফট টিস্যু টিউমার। ব্যাপারটি একটু অদ্ভুত হওয়ায় তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।
কলকাতা নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে মলিনাদেবী আসেন ২৬ জানুয়ারি। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারে তার শরীরে ১৫ সেন্টিমিটারের লম্বা একটি টিউমার হয়েছে যা আদতে কার্সিনোমা অর্থাৎ এই টিউমারে ক্যান্সার কোষ রয়েছে। এই বিষয়ে এনআরএসএর সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডক্টর উৎপল দে জানিয়েছেন, "ওই রোগীর ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং টেস্ট করার পর আমরা রোগের জটিলতা বুঝতে পারি। খুব একটা সহজ ছিল না ঐ টিউমার বাদ। অগত্যা ৩ ঘন্টার জটিল অস্ত্রপ্রচার করে কক্সিস হাড় বাদ দেওয়া গেছে।" বর্তমানে অস্ত্রোপচারের পর ভালো আছেন মলিনাদেবী।