বদলির প্রতিবাদে গতকাল বিষ খেয়ে আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকা। যা নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই পাঁচজনের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকার (State Government) তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, বিষয়টিকে রাজ্য সরকার হালকা ভাবে নেয়নি। দাবিদাওয়া আদায়ের ক্ষেত্রে এমন 'ধ্বংসাত্মক' পথ সমাজের উপর যে বড় প্রভাব তৈরি করতে পারে, তা স্বীকার করে নিয়ে রাজ্য সরকার কড়া হাতে বিষয়টি যে দেখবেন তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, গতকাল বিকাশভবনের সামনে বদলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল শিক্ষিকা। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাঁরা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন। ঘটনার মোড় আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশের সামনে আচমকাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তৎক্ষনাৎ পাঁচজন শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর দায়িত্বরত পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তবে প্রশাসনের তরফে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। গতকাল সন্ধ্যায় নমুনা সংগ্রহ করেছে বিশেষ ফরেন্সিক দল।
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন আগেই ঐক্য মঞ্চের এই শিক্ষিকাদের একাংশ এমএসকে এবং এসএসকে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে নবান্নের সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন। এই বিক্ষোভের পর রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত চরমে পৌঁছায় বলে অভিযোগ। তার ভিত্তিতে এই শিক্ষিকাদের বদলি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষিকাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁদের বদলি করিয়েছেন। একজন শিক্ষিকার অভিযোগ, "আমি দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় থাকি। আমাকে হঠাৎ কোচবিহারে বদলি করা হয়েছে। এই বয়সে কীভাবে সেখানে যাওয়া সম্ভব?" তবে বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতর যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। প্রশাসনের তরফে এই শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিতও মিলেছে বলে সূত্রের খবর।