পাশকুঁড়ার ১৮ নং ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুকুমার ভুঁইয়া এদিন আক্রান্ত হয়েছেন শুনে তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকেই ফেরার পথে শুভেন্দুর কনভয়ের ওপরও হামলা চালানো হয় বলে খবর। কনভয়ের একদম শেষভাগে থাকা বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর আচমকাই আক্রমণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই আক্রমণের পিছনে শাসকদল তৃণমূলকেই দায়ী করেছে বিজেপি। কনভয়ের পিছনে থাকা কমপক্ষে দশ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পাশকুঁড়ার চাঁপাডালির এই ঘটনায় তৃণমূলের ওপর ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
ঠিক কি হয়েছিল? জানা গেছে, এদিন দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে যান পাঁশকুড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুকুমার ভুঁইয়া। আর সেখানে তৃণমূলের 'আশ্রিত দুষ্কৃতী'রা তাঁর ওপর আক্রমণ চালালে আহত হন তিনি। তাই রাত আটটা নাগাদ তাকে দেখতে তার বাড়ি পৌঁছান শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের রাস্তা আটকে গো-ব্যাক স্লোগানও দেয় তৃণমূলকর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ। কনভয়ের পিছনে থাকা কমপক্ষে দশ জন বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালানো হলে ওই আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ।
বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে ওই 'তৃণমূলের গুন্ডা'-রা শুভেন্দুর ওপরেই আক্রমণ করতে চেয়েছিল, কিন্তু না পেরে কনভয়ের প্রান্তভাগে অত্যাচার চালায়। অনেকগুলো বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। যদিও এই অভিযোগে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। এটা 'বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতার দাবি সুকুমার ভুইয়া অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত, আর শুভেন্দুও আসেন এলাকায় অশান্তি ছড়াতে। মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র দাবি করেছেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনোভাবেই কোনও যোগ নেই।