মরশুমের প্রথম আমদানি। তা-ও আবার প্রায় আড়াই থেকে তিন টন। ইলিশপ্রেমী বাঙালির কাছে রসনাতৃপ্তির জন্য হাজির সমুদ্রের রুপোলী শস্য ইলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) নগেন্দ্র বাজারের মাছের আড়তে দেখা গেল তেমনই ছবি। জিভে জল আনা টাটকা ইলিশ (Hilsa) এবার বাঙালির পাতে।
দিন তিনেক আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক হাজার ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে। এর মধ্যেই সুখবর ডায়মন্ড হারবারে কয়েকটি ট্রলার অন্তত আড়াই থেকে তিন টন ইলিশ নিয়ে ফিরে এসেছে। ইলিশগুলির গড় ওজন ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম। বড় ইলিশ যে একদম নেই, তা কিন্তু নয়। সূত্রে খবর, কেজি প্রতি ৬০০ টাকা দরে পাইকারি বাজারে সেগুলি বিক্রি হয়েছে। মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, এ বছর ইলিশের ঘাটতি বোধহয় থাকবে না। শুরুতেই এমন আমদানিতে আশার আলো দেখছেন তাঁরা।
গত তিন বছর ইলিশের আমদানি তেমন একটা ছিল না। বাজারে ইলিশ পাওয়া গেলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। একাংশ আশা করেছিলেন, এ মরশুমে ইলিশের আমদানি ভালোই থাকবে। তবে শুরুতেই এমন আমদানি কেউ আশা করেননি। এক মৎস্যজীবীর কথায়, ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন। আশা করছি এ বছর ইলিশের ঘাটতি থাকবে না। শুরুতেই যদি এমন আমদানি থাকে, তাহলে এরপর আরও ইলিশ পাওয়া যাবে।
সমুদ্রে ইলিশ ধরার বিভিন্ন নিয়ম-কানুন রয়েছে। ছোট ইলিশ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। গত তিন বছর বাজারে তেমন ইলিশের আমদানি ছিল না। গভীর সমুদ্রে গিয়েও ইলিশের তেমন দেখা মেলেনি। তবে এবার মাত্র দিনের তিনেকের মধ্যে সমুদ্রের কাছাকাছির মধ্যে এমন ইলিশের আমদানি ভাবা যায় না, বলছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ। বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে যে এ বছর তেমন কোন ঘাটতি থাকবে না, বলাই বাহুল্য।