রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনার মাঝেই রাজীবকে আক্রমণ করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ এদিন বলেন, "ভোটের আগে বলেছিলাম, ওকে তিরিশ হাজার ভোটে হারাব। তিন বছর ঘুমোতে দেব না। ভোটের ফল বের হওয়ার এক মাস পরেই কী হয়েছে দেখুন। ঘুম চলে গিয়েছে। চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছ।"
তিনি আরও বলেন, "এখন উনি ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছেন। ভোটের আগে বাঁকড়ায় মিছিল নিয়ে এসে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছিলেন। নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পুলিস নিয়ে এসে তা আটকে দেন। আজ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছে!"
উল্লেখ্য, গতকাল কুণাল ঘোষের সঙ্গে 'সৌজন্য সাক্ষাত' করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে কল্যাণের কটাক্ষ, "ওটা যদি সৌজন্য সাক্ষাতই হবে তাহলে সংবাদমাধ্যম ওখানে গেল কী করে। কুণাল ও রাজীবই কি শুধু বুদ্ধিমান! আর আমরা কি গরু-ছাগল! রাজীব তৃণমূলে ফিরলে দলের কর্মী-সমর্থকরা কি মেনে নেবে? সেটা আগে জনা দরকার।"
ওদিকে দলবদলুদের নিয়ে সৌগতবাবু বলেন, "দলত্যাগীদের দলে ফেরানো হবে না এমন কোনও কথা আমি বলিনি। আমি বলেছিলাম এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলত্যাগীদের মধ্যে দুটি ভাগ রয়েছে। যারা নরমপন্থী তাঁদের ফেরানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করবে তৃণমূল। কিন্তু যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন তাঁদের ফেরানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।"