৩০ জানুয়ারি বাংলা সফরে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের সভায় এবারে ঠাকুরনগরে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলের বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা। ইতিমধ্যেই আজ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জোর জল্পনা উঠেছে তার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার। এছাড়াও তৃণমূল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। অন্যদিকে বৈশালী ডালমিয়া এবং রথীন চক্রবর্তী আছেন বিক্ষুব্ধদের তালিকার উপরের দিকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তীব্র হচ্ছে, অমিত শাহের সভায় আবারো কি মেগা যোগদান হতে চলেছে?
তবে বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, শুধু এইটুকু নয় তৃণমূলের আরো বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন এই সভা থেকে। তালিকাতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো ১৬ জন নেতার নাম আছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন তার বাড়িতে পদ্ম ফুটতে চলেছে। অর্থাৎ মনে করা হচ্ছে এই তৃণমূল হেভিওয়েটের তালিকায় শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারি রয়েছেন। এছাড়াও বিজেপির তালিকাতে আছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, সাধন পান্ডে, আবির বিশ্বাস, সিএস জাটুয়া, বিশ্বনাথ পারিয়াল, দিলীপ জাটুয়া, দীপক অধিকারী, প্রতিমা মন্ডল, আফরিন আলী, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বৈশালী ডালমিয়া, শংকর সিং, উদয়ন গুহ, এবং উত্তর পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। যদিও তৃণমূলের তরফে এই তালিকা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি তরফে এই তালিকা পেশ করে দাবি করা হচ্ছে এরা ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনেকেই বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন। তবে তারা জানিয়েছে সম্পূর্ণ ঝাড়াই-বাছাই করার পরে তাদেরকে দলে নেওয়া হবে। তবে এই মুহূর্তে তালিকায় যাদের নাম আছে তারা কিন্তু সকলে বিক্ষুব্ধ নন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করলে এই সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "পার্টি নীতি আদর্শ মেনে চলছে। দল বাড়ছে। তাই অনেকে আসতে চাইছেন। ঝাড়াই বাছাই করা হবে। আমরা সতর্কভাবে দেখছি। যারা অন্য দল থেকে আসছেন তাদের যোগ্যতা বিচার করে তবেই কিন্তু দলে শামিল করা হবে।"