প্রকাশ্যেই তোপ দাগলেন তিনি। কোন লুকোচুরি নয়,অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হলে উল্টে তাঁকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ফেসবুকে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।
এমন অভিযোগের কারণ কী? সম্প্রতি রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। যেন পারস্পরিক প্রতিযোগিতা, দড়ি টানাটানির খেলা। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ জন হেভিওয়েট নেতার বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেই তালিকায় আছেন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রমুখের নাম। এমনকী এই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-কে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। এ নিয়ে কম জলখোলা হয়নি। এবার পাল্টা ১৭ জনের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা দায়ের হল।
তালিকায় আছেন শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, মহম্মদ সেলিম, দিলীপ ঘোষ প্রমুখের পাশাপাশি অনুপম হাজরার নামও। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় তিনি অভিযোগ করেছেন (যদিও তিনি 'আবদার' বলেছেন), "মামলা-শেষে মহামান্য আদালতের নিকট আমার যে সম্পত্তি হ্রাস পাইয়াছে এবং এক পয়সাও যে অবৈধ উপার্জন নাই - ইহা প্রমাণিত হওয়ার পর অনতিবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী-তহবিল বা ভাইপো-তহবিল বা পার্থ-তহবিল বা কেষ্ট-তহবিল বা সায়গল-তহবিল বা সুকন্যা-সমৃদ্ধি-যোজনা থেকে কিছু ক্ষতিপূরণ যেন আমাকে দেওয়া হয় !!!"
অনুপম হাজরা গোটা বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, "তৃণমূলের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলাতে নিজের নাম দেখিয়া যারপরনাই পুলকিত হইলাম; বড়লোকদের তালিকায় নিজের নাম দেখে বেশ গর্বও বোধ করিলাম।" পাশাপাশি তিনি একটু দুঃখও পেয়েছেন। কারণ, "তালিকার একদম নিচের দিকে এবং সর্বশেষ নাম হাওয়ায় কিঞ্চিৎ দুঃখও পাইলাম।"
তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। খানিকটা ব্যঙ্গের ছলে বলেছেন, "তৃণমূলীদের ধন্যবাদ জানাই এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য - যাতে মহামান্য আদালত তথা মহামান্য জনসাধারণের নিকট তথ্য প্রমান সহ প্রমাণ করিতে পারি যে রাজনীতিতে পদার্পণ'এর পর আমার সম্পত্তি আদৌ বৃদ্ধি পাইয়াছে নাকি উল্টে হ্রাস পাইয়াছে!!!"