ফের খারিজ হয়ে গেল অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। এই নিয়ে তৃতীয়বার। আসানসোলে সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে আজ ১৪ তম দিনের শুনানি ছিল। অসুস্থতার কারণ দর্শিয়েও স্বস্তি মিলল না। অনুব্রতকে প্রভাবশালী মনে করে তাঁর হেফাজতের আবেদন করে সিবিআই। সেইমতোই আদালতে তাঁর জামিন খারিজ করে দেয়, আগামী ১৪ দিন তাঁর ঠিকানা হবে নিজামই। যদিও অনুব্রতর শারিরীক অবস্থার কথা মাথায় রেখে চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। অনুব্রতকে হাসপাতালে রাখা হবে নাকি জেলে স্থানান্তর করা হবে তা এখনও জানা যায়নি।
এদিন অনুব্রতর আইনজীবি নাগপাশে বেঁধে ফেলে অপরপক্ষকে। তিনি সওয়াল করেন, অনুব্রতর যা সম্পত্তি রয়েছে তা সবই সরকারের ঘরে নথিভূক্ত। এর জন্য ট্যাক্স পে করা হয়। তবে এভাবে তাকে হেনস্থা করা কেন? আরও বলেন, গোরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি অনুব্রতর কোনও যোগসাজসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদি বিদেশে গরু পাচার হয়ে থাকে তবে তার জন্য বিএসএফ রয়েছে। সিবিআই কেন এতে হস্তক্ষেপ করছে? তাছাড়া সিবিআই আদালতে জানানোর আগে মিডিয়াকে জানিয়ে দিচ্ছে কেন তা নিয়েও আপত্তি প্রকাশ করে অনুব্রতর আইনজীবি।
গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনুব্রতর আইনজীবি সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় নেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল, তাই এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট একশো সিআরপিএফ জওয়ান সহ সিবিআই বাহিনী হানা দেন অনুব্রতর বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে। সেখান থেকেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সই করিয়ে অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়া হয়। সিবিআই বিশেষ আদালত থেকে ১০ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। মেয়াদ শেষে রবিবারই আসানসোলের আদালতে পেশ করা হয়েছিল অনুব্রতকে। সওয়াল জবাব শেষে অনুব্রতকে চারদিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেইমতো আজ ফের আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে।