রোজই নতুন কনটেন্ট যোগ হচ্ছে তৃণমূল-শুভেন্দু-বিজেপি এই ত্রিকোণ রাজনৈতিক গল্পে। বিহার ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর সরাসরি বেশি সময় না নিয়ে দলবদল করে নেওয়ার প্রকাশ্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষে। একইসাথে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেক তৃণমূল নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেই দিলেন, “তৃণমূল বিজেপি একসাথে দুজনের সাথে প্রেম করা যায় না।”
আবার নন্দীগ্রাম দিবসে ‘অরাজনৈতিক সভা’ আয়োজন করে মাত করে দিয়েছেন শুভেন্দু অনুগামীরা। আর নন্দীগ্রাম দিবসের পরের দিনই শুভেন্দু ঘনিষ্ট তথা ওই সভার অন্যতম উদ্যোক্তা মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন, নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহের এবং মেঘনাথ পালের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হলো। এই ঘটনায় হতবাক তিন নেতাই। আর এই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের ঘটনায় মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটারে লিখেছেন, রাজনৈতিক চাপে পড়ে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারো নিরাপত্তা বিষয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়।
কিন্তু এতকিছুর মাঝে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য ভাবাচ্ছে সবাইকে। তিনি বলেছেন, “শুভেন্দু তো বিজেপিতে যায়নি। আমিও তো অনেকসময় ফ্ল্যাগ ছাড়া সভা করি। এটা আমাদের কৌশলও তো হতে পারে।” ফলে এই ত্রিকোণ গল্পের অভিমুখ নিয়ে ধন্ধে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।