বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকপক্ষ-বিরোধীপক্ষ , হুংকার-হুঁশিয়ারিতে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। পরিবর্তনযাত্রার প্রচারে বিজেপির রথযাত্রায় এখনো রাজ্যের তরফে মেলেনি পূর্ণ অনুমতি। আর তার আগেই নানুরের সভা থেকে 'খেলা'-র হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সিএএ থেকে রাজ্য বাজেট- সবেতেই মন্তব্য করেছেন তিনি। বিজেপির রথযাত্রার প্রসঙ্গে স্পষ্ট বলেন, "ওই দিন সবাই নাচবে, তারপর আমি খেলা দেখাব।" সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সহ সভাপতি অভিজিৎ সিং, সাংসদ অসিত মাল, কাজল শেখ, সুব্রত ভট্টাচার্য ও আরও অনেকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যা কথা বলেন। ওঁর পকেটে মিথ্যে কথা থাকে। বাংলায় এসে পকেট থেকে মিথ্যে কথা বের করবে আর বলবে। বাংলার মানুষ বোকা নয়।" মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তুলনা টেনে বলেন, "মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করার করবেন। ২০ লক্ষ মানুষকে বাড়ি করে দেবেন।" গতকালই বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে নিয়েও মতামত দেন, মুখ্যমন্ত্রী যে বাজেট ঘোষণা করেছেন, তা সাধারণ মানুষের জন্য এবং এই বাজেটে মানুষ খুব খুশি। সিএএ প্রসঙ্গে বলেন, "ওরা আগে চালু করে দেখাক। এই বাংলা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিবেকানন্দ, নেতাজির। এখানে এই সব করা যাবে না। বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।" ৯তারিখ তারাপীঠে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার রথযাত্রাকেও আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "ওই দিন সবাই নাচবে আমি দেখবো। তারপর আমি খেলা শুরু করব, ওরা দেখবে।" যদিও 'খেলা' প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানান, তার অনেক রকম খেলা জানা আছে, "তোমরা যেটা বলবে, সেই খেলাটা খেলব।" দিলীপ ঘোষের খেলা সম্বন্ধে বলেন "নামুক, ও এক সাইডে থাকবে আমি অন্য সাইডে। ওরা খেলা জানে, ঘুঁটি সাজাতে জানে না।" তাই বলা যায়, নির্বাচনের আগে দু'পক্ষের যুযুধানে সরগরম বাংলা।