চারটি পুরনিগমে ভোট মিটেছে, ফুটেছে ঘাসফুল। যদিও প্রথম থেকেই 'ছাপ্পা ভোট' নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। হাইকোর্টের (Kolkata High Court) দারস্থ হতেও পিছপা হননি তারা। গতকালই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুরভোট নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ওটা আসলে ডাকাতের দল।"
এখানেই শেষ নয়। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর নিশানা, "ওই ডাকাতের দলের একজন সর্দার রয়েছেন। তিনিই হলেন ডাকাতরাণী।" এর সঙ্গেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। একই জালে বিঁধে বলেন, "পুরসভাগুলিতে যেভাবে ভোট করানো হচ্ছে তার ফলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। প্রার্থীদের মারধর করা হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।"
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও পুরভোট প্রসঙ্গে দু'জনের মধ্যে কথা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বারংবারই অভিযোগ তুলে গিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। তবে এরই মধ্যে আজ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেই দায়ের হল এফআইআর। জানা যাচ্ছে, ভবানীপুর থানায় এই এফআইআর দায়ের করেছে আশুতোষ কলেজের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামা শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শ্যামাপ্রসাদ অনুশীলন কেন্দ্র। আশুতোষ কলেজের বাইরে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর হঠাৎই পরিস্থিতি খারাপ হয়। অভিযোগ, বিরোধী দলনেতাকে ঘিরে "চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা" এই ভাষায় কার্যত স্লোগান দেয় প্রায় শতাধিক পড়ুয়া। তাতে মেজাজ হারিয়ে তেড়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে এবার পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল আশুতোষ কলেজের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং পড়ুয়ারা। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও মন্তব্য না পাওয়া গেলেও, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "পুলিশ দলতন্ত্রের হয়ে কাজ করছে। বিরোধী লোকেদের বাধা দিচ্ছে। রাজ্য জুড়ে পুলিশের অপব্যবহার করছে শাসকদল।"